বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি(বাশিস) টাঙ্গাইলের সখিপুর শাখার বিরুদ্ধে অডিট কমিটি কোটি টাকার দুর্নীতির প্রমান পেয়েছেন। অডিট কমিটির প্রধান ছিলেন বানিয়ারছিট সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ.কে.এম ফজলুল হক, সদস্য মোঃ আঃ মজিদ ও কামরুল হাসান বি.এসসি। অডিট কমিটি সমিতির বিভিন্ন খাতে কোটি টাকার আর্থিক অসঙ্গতি লক্ষ্য করে সমিতির সভাপতি মো. শহীদুল ইসলাম, সাবেক সেক্রেটারী একেএম সাইফুল্লাহ,ও কল্যাণ ট্রাষ্টের সেক্রেটারী তুলা মিয়াকে অভিযুক্ত করেন। গত ২৯ আগষ্ট-২০১৯খ্রি. অডিট কমিটি গঠনের পর হতে অডিট কার্যক্রম চালাতে দীর্ঘ সময় ক্ষেপণ করেন। কারণ অডিটের সঠিক ভাউচারসহ অনেক এভিডেন্স দিতে টালবাহানা করেন। নির্বাচনের পুর্বে অডিট রিপোর্ট প্রতি বিদ্যালয়ে পৌছে দেয়ার কথা থাকলেও নির্বাচনের অনেক পর অডিট কমিটি একটি প্রতিবেদন তৈরী করে উপস্থাপন করেন। ঐ অডিট কমিটির অডিট পর্যালোচনা করার জন্য আবার ৭জন প্রধান শিক্ষকের সমন্বয়ে একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করা হয়। ঐ কমিটির সদস্য গন হলেন- মোঃ তোফাজ্জল হোসেন,কায়উম হোসাইন,মোঃ লুৎফর রহমান,মোঃ লাল মিয়া,মোঃ মতিউর রহমান ভুইয়া,মোঃ শাহজাহান, ও আজহারুল ইসলাম। পর্যালোচনা কমিটি অডিট কমিটির অডিটকে সঠিক বলে মনে করেছেন। তবে অডিটে উপরোক্ত ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের নানা দিকগুলি বিশ্লেষণ করেছেন। সাবেক সেক্রেটারী সাইফুল্লাহ কল্যান তহবিল হতে ব্যাংকে ঋউজ করার জন্য ১৫ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে ৩ জনে ঋউজ না করে ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে পকেটস্থ করেন বা আত্মসাৎ করেন। অগ্রনী ব্যাংকের ঋউজ এর বিপরীতে ঋণ গ্রহণ করে সেক্রেটারী তা সমিতির উপরে চাপাচ্ছেন। ১৪জন শিক্ষক কর্মচারীর অবসর/মরনোত্তর ভাতা বেশি সংযোজন করা হয়েছে- ১০ লক্ষ ৮৭ হাজার ৮শত টাকা। যা কল্যাণ তহবিলের সাবেক সেক্রেটারী তুলা মিয়া লিখিত ভাবে স্বীকার করেছেন। ইতি পূর্বে কোন বাজেট প্রনয়ন না করে সমিতির সভাপতি মনোচ্ছাকৃতভাবে সমিতি চালাচ্ছেন। খরচের ক্ষেত্রে সভাপতি সমিতি থেকে নামে বেনামে বিভিন্ন অনুদান দিয়ে সমিতিকে অনুদানের কারখানায় পরিণত করেছেন। সাবেক সেক্রেটারী হিসাব সংক্রান্ত ক্যাশ খাতা এবং অন্যান্য রেজিষ্টার ও ভাউচার ব্যবহার না করে শুধু নোটবুক নির্ভর মনগড়া হিসাব দিয়েছেন,যা বিধিসম্মত নয় বলে সমন্বয় কমিটি ব্যক্ত করেছেন। প্রায় ১ বছর হয়েছে নতুন কমিটি হয়েছে এখন পর্যন্ত নতুন কমিটির সেক্রেটারী সকল হিসাব নিকাশ করে ক্যাশ বুঝে নিতে পারেন নাই। এমতাবস্থায় সাধারণ শিক্ষক কর্মচারীরা হতাশায় ভুগছেন এবং অধিকাংশ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীরা তাদের জমাকৃত টাকা ফেরৎ চেয়ে ইতিমধ্যে বাশিসের নিকট আবেদন করেছেন। শিক্ষক কর্মচারীদের কষ্টার্জিত বেতনের ১% কল্যাণ তহবিলে জমা দেন প্রতি বছর। আর সেই ঘাম জড়ানো টাকা যদি এমনভাবে পকেটস্থ হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া যায়? সমিতির টাকা ব্যাংকে না রেখে লাখ লাখ টাকা তাদের হাতে রেখেছেন। উক্ত তিনজনের বিরুদ্ধে প্রায় ৬২ লক্ষ টাকার অনিয়ম ও দূর্নীতি পরিলক্ষিত হয়েছে। অডিট কমিটির প্রধান বানিয়ারছিট সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম ফজলুল হক বলেন, সমিতির আর্থিক লেনদেন যে তিনজনের মাধ্যমে হয়েছে তাদের তথ্য-উপাত্তের উপর ভিত্তি করে অডিট প্রতিবেদন তৈরী করা হয়েছে। অডিট পর্যালোচনা কমিটির ৭জনের একজন প্রধান শিক্ষক কায়উম হোসাইন বলেন, অভিযুক্তদের কারন দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশের উত্তর আসার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অভিযুক্ত তিনজনের একজন বাশিস টাঙ্গাইলের সখিপুর শাখার সভাপতি মো.শহীদুল ইসলাম বলেন, অডিট রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে
Leave a Reply